কেন আপনি  অ্যামাজনে সেল করবেন?

আপনারা হয়তো জানতে চাইবেন আপনারা কেন অ্যামাজন ওয়েবসাইটে ব্যবসা করবেন? এবং এই ব্যবসা করে আপনাদের কি লাভ? এটা জানতে গেলে শুরুতেই আমাদের জানতে হবে অ্যামাজন কি?

  1. অ্যামাজন পৃথিবীর সবচাইতে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রায় সবকিছুই বিক্রি করা যায় – অ্যামাজন লোগো নির্দেশ করে যে এ থেকে জেড পর্যন্ত যত প্রোডাক্ট আছে সবই অ্যামাজন বিক্রি করে।  এখানে প্রায়ই কয়েক মিলিয়ন প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। এমন কোন জিনিস নেই যেটা অ্যামাজনে পাওয়া যায় না। 
  1. এটা একটি প্যাসিভ ইনকাম। মজার ব্যাপার যেখানে অন্যরা আপনার হয়ে অর্থাৎ অ্যামাজন আপনার হয়ে বিজনেস রান করবে আর আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ইনকাম করতে পারবেন । আপনার দায়িত্ব শুধু সুপার ভাইস করা। 
  1. এখানে আপনি পাবেন কোটি কোটি ক্রেতা। এত দ্রুত এত ক্রেতার কাছে আপনার প্রোডাক্ট পৌঁছানোর সুযোগ শুধুমাত্র অ্যামাজনই দিতে পারে এবং দিচ্ছে। 
  1. তাছাড়া দিন দিন অনলাইন শপিং এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। মানুষ প্রতিদিন অনলাইনে কিছু না কিছু জিনিস কিনছে। আপনারা সবাই জানেন এর চাহিদা ভবিষ্যতে আরো অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। সেই কারণে বর্তমান সময়ে ব্যবসা করার নতুন একটি রাস্তা হলো অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করা। আর এই অনলাইন শপিং এর মধ্যে সবথেকে বড় প্ল্যাটফর্ম হলো অ্যামাজন। তাছাড়া করোনা পরবর্তী সময়ে শপিংয়ের ধারণাটাই চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। মানুষ এখন দোকানে না গিয়ে বাড়িতে বসেই পণ্য অর্ডার করে । বিশেষ করে ইউরোপিয়ান কান্ট্রি গুলোতে এরকমই হচ্ছে ব্যাপারটা এরকম পর্যায়ে গিয়েছে যে শপিং সেন্টার বা মার্কেটে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ অফার বা ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। অ্যামাজনে যেহেতু পরদিনই ডেলিভারি দেওয়া হয় তাই অ্যামাজনে পণ্য অর্ডার করার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অ্যামাজনে প্রোডাক্টের কোয়ালিটি সম্পর্কে কাস্টমারদের কে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া হয় । যদি কেউ এখানে খারাপ করার বিক্রি করার চেষ্টা করে এবং বাজে রেটিং পেতে থাকে তাহলে আমাজন স্টোর  পার্মানেন্টলি বন্ধ করে দেয় । সুতরাং আপনারা যারা অ্যামাজনে বিজনেস করতে যাচ্ছেন  তারা অবশ্যই কখনোই খারাপ কোন প্রোডাক্ট  কখনোই বিক্রি করার চেষ্টা করবেন না । যদি এমন হয় যে আপনার প্রোডাক্ট যে কোনভাবেই খারাপ হয়ে গেল সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রোডাক্ট উঠিয়ে নিতে হবে  যদি আপনি অ্যামাজনের সাথে পার্মানেন্টলি বিজনেস করতে চান। অ্যামাজন তার কাস্টমারদের কোয়ালিটি প্রোডাক্ট দিতে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করে । তবে ভয়ের কিছু নেই কারণ প্রোডাক্ট অ্যামাজনে স্টোর করার আগে আপনি স্যাম্পল চেক করে নিতে পারবেন আমি পরবর্তীতে এটি দেখাবো  যে কিভাবে আপনি স্যাম্পল কালেক্ট করবেন । 
  1. আপনি অ্যামাজনের সাথে ব্যবসা করলে 24 ঘন্টা/7 দিন ব্যবসা চালু রাখতে পারবেন দিন হোক বা রাতে আপনার ব্যবসা চলতেই থাকবে
  1. একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করুন, আপনি যদি একটি দোকান খুলতে চান তাহলে আপনার দোকানের অ্যাডভান্স এর পেছনে বেশ মোটা অংকের টাকা খরচ হবে। আর সেটা যদি হয় ঢাকা অথবা কোন বিভাগীয় ও জেলা শহরে । কোটি টাকার বেশিও লেগে যেতে পারে ।  বসুন্ধরাতে একটি দোকান ভাড়া নেওয়ার কথা চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন কত টাকা টাকা এডভান্স দিতে হতে পারে। এছাড়া প্রতি মাসে  দোকান ভাড়া স্টাফদের বেতন,  ইউটিলিটি বিল,  shop মেইনটেনেন্স এসমস্ত কিছুতেও আপনার অনেক খরচ হবে । কিন্তু আপনি যদি অ্যামাজনের সাথে বিজনেস করেন তাহলে এই সমস্ত ব্যাপার গুলো আপনি অনেক কম খরচে মেটাতে পারবেন, অথবা অনেক ক্ষেত্রে নাই । যেমন দোকানের এডভান্স আপনার লাগবে না  কিন্তু আপনি কোম্পানির ওয়ারহাউজ ব্যবহার করতে পারবেন । 
  1. অ্যামাজন সবচাইতে বড় ব্রান্ড হওয়ার কারণে কাস্টমারকে আপনার খুঁজতে হবে না কাস্টমারই আপনাকে খুঁজে নিবে 
  1. উচ্চ মুনাফার হার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *